গুলশানে একটি ফ্ল্যাটে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি পিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সাইফা রহমান মিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতাউল্লাহ শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে গতকাল (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছিলেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ধানমণ্ডির বাসা থেকে মিমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে পিবিআই স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

মিম আলোচিত হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরীর সাবেক স্ত্রী।

প্রসঙ্গত, মুনিয়া মিরপুরের একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবার নাম মৃত শফিকুর রহমান। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদরের দক্ষিণপাড়া উজির দিঘি এলাকায়। তিনি গুলশান দুই নম্বর এভিনিউর ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর প্লটের বি/৩ ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। গত বছরের ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া ‘আত্মহত্যা’য় প্ররোচনার অভিযোগ এনে দেশের অন্যতম ব্যবসায়িক গ্রুপ বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে অব্যাহতি পান সায়েম সোবহান আনভীর।

পরে গত ৬ সেপ্টেম্বর নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে মুনিয়াকে ‘ধর্ষণের পর হত্যার’ অভিযোগ এনে আরেকটি মামলা করেন। মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ আটজনকে আসামি করা হয়। আদালত গুলশান থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। সাইফা রহমান মিম এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।